শান্তা শিকদার
আজকাল সোশ্যাল মিডিয়াতে একটু চোখকান খোলা রাখলেই দেখতে পাওয়া যাবে আমিষ, নিরামিষ পদের হাজারো রন্ধন প্রণালী। আগের মতো খাতা-কলম খুলে বসতে হবে না। শুধু মোবাইলের বোতাম টিপলেই হল। কি খেতে চান খাবারের নামটি জাস্ট লিখুন। দেখবেন গুপি-বাঘার তালি মেরে খাবার আনার মতো আপনার সামনেও ভেসে উঠবে হাজারো পদ। এবং সঙ্গে থাকবে রান্না কীভাবে করবেন অর্থাৎ রন্ধন প্রণালী। এবার শুধু সময়ের অপেক্ষা, তারপর টেবিল সাজিয়ে বসে পড়ুন। চেটেপুটে খেয়ে ফেলুন। কিন্তু অনেকসময় সামান্য অসাবধানতার কারণে ভুল হয়ে যেতে পারে। নুন, হলুদ কিংবা ঝাল একটু কম-বেশি হয়ে যায়। তখন পা ছড়িয়ে কাঁদতে না-বসে একটু চোখ বুলিয়ে নিন আজকের এই পোস্টটিতে। আমাদের দৈনন্দিন জীবনের রান্নাকে আরও সহজ ও সুন্দর করতে চলুন জেনে নিই টিপসগুলি।
রান্না করার সময় ঢাকানা দিয়ে রান্না করা ভাল, এতে খাবারের পুষ্টি বজায় থাকে এবং খাবার সুস্বাদ হয়।
মাংস রান্নার সময় মশলা দিতে যখন থাকবেন তখন নুন দেবেন না। নুন মাংস রান্নার মাঝামাঝি সময়ে দিন এবং ভালভাবে নাড়ুন। পরে একবার টেস্ট করে নিন। প্রয়োজন হলে আরও একটু দেবেন। এতে নুনের পরিমাণ এবং স্বাদ বুঝতে সুবিধা হয়।
তরকারির ঝোল অথবা স্যুপ ঘন করতে আলুকে চামচ দিয়ে ভাল করে ঘেঁটে দিন। নইলে এক চামচ ময়দা দিন। অনেকসময় প্রেসার কুকারে বা কড়ায় ডাল সিদ্ধ করতে গেলে তা উপচিয়ে ওঠে এবং গ্যাসের ওপর পড়ে, আপনি ডালের ওপর একটু সর্ষের তেল দিন। দেখবেন আর ফুলে উঠবে না।
ভাত ঝরঝরে না-হলে খাওয়াটাই মাটি হয়ে যায়। তাই এই বিষয়টি নিয়ে গৃহিণীরা ভীষণ চিন্তিত থাকেন। চিন্তা না-করে বরং চাল ধোয়ার পর ১০ মিনিট রেখে দিন। তারপর রান্না করুন অথবা রান্নার সময় ১ চামচ সর্ষের তেল দিন। দেখবেন সুন্দর ঝরঝরে ভাত হয়েছে।
পাঁঠার মাংস সেদ্ধ হতে সময় তো একটু লাগবেই। যদি তাড়া থাকে বা তাড়াতাড়ি করতে চান তাহলে এক টুকরো কাঁচা পেঁপে খোসা শুদ্ধু দিন। দেখবেন তাড়াতাড়ি সিদ্ধ হবে মাংস।
কিছু মাছ আছে যেগুলো ভাজতে বসলে রীতিমতো ঢাল নিয়ে ভাজতে বসতে হয়। কারণ, মাছ ভাজার সময় তেল ছিটকোতে থাকে। সে ক্ষেত্রে তেল যখন গরম হবে তখন একটু নুন বা দুটো শুকনোলঙ্কা কেটে দিন। দেখবেন তেল আর ছিটকোবে না।
তরকারিতে যদি নুন বেশি হয়ে যায় তবে, দু’টুকরো আলু সেদ্ধ করে দিন। নুন কমে যাবে। কারণ, আলু নুন শুষে নেয়।
অনেকসময় রান্নায় ঝাল বেশি হয়ে যায় অথবা কাঁচা মশলার গন্ধ আসে অথবা মশলা পুড়ে গিয়ে তেতো হয়ে যায়। কিছুটা পিঁয়াজ কুচিয়ে নিন। তারপর তেলে ভাজুন লাল করে। পিঁয়াজ ভাজার মাঝেই দিন আস্ত গরমমশলা। এবার এই ভাজা পিঁয়াজ দিন আপনার রান্নায়। নেড়ে নিয়ে আঁচ কমিয়ে ঢেকে রাখুন ১৫ থেকে ২০ মিনিট। ব্যস, এবার দেখুন আপনার মনমতো স্বাদ ফিরে এসেছে।
Comments are closed, but trackbacks and pingbacks are open.