চলে গেলেন আশির দশকে হিন্দি ছবির গানে যুগান্তকারী গায়ক এসপি বালসুব্রহ্মণ্যম
লড়াই শেষ, প্রয়াত হলেন জনপ্রিয় সঙ্গীতশিল্পী এস পি বালসুব্রহ্মণ্যম
শান্তা শিকদার
সত্তরের দশকের গোড়ায় সুরকার লক্ষ্মীকান্ত-প্যারেলাল পরিচালক রাজ কাপুরের ‘ববি’ (১৯৭৩) ছবিতে ঋষি কাপুরের লিপে শৈলেন্দ্র সিংকে দিয়ে গাইয়ে হিন্দি ছবির গানে বদলে দিয়েছিলেন খোলনলচে। ঠিক এক দশক পর লক্ষ্মীকান্ত-প্যারেলাল আবার চমক দিলেন ‘এক দুজে কে লিয়ে’ (১৯৮১) ছবিতে দক্ষিণী এক গায়ক এসপি বালসুব্রহ্মণ্যমকে দিয়ে গান গাইয়ে। লতা মঙ্গেশকরের সঙ্গে পাল্লা দিয়ে গেয়েছিলেন ‘তেরে বিচ মে’, ‘হম তুম দোনো জব মিল জায়ে’, ‘হম বনে তুম বনে’ গানগুলো। ‘মেরে জীবন সাথি’ অনুরাধা পড়োয়ালের সঙ্গে। আবার দুঃখের গান হিসেবে যখন গাইছেন বালু ‘তেরে মেরে বিচ মে’ তখন অন্য আর এক গায়ককে পাওয়া গেল। ‘এক দুজে কে লিয়ে’ ছবিতে গান গেয়ে সেরা গায়কের জাতীয় পুরস্কার পান এসপি বালসুব্রহ্মণ্যম। যদিও এর আগেও একবার পেয়েছিলেন সেরা গায়কের জাতীয় পুরস্কার।
এর চার বছর আবার এসপিবি ‘সাগর’ (১৯৮৫) ছবিতে গান গেয়ে মাতিয়েছিলেন। হিন্দি ছবির গানের শ্রোতাদের কাছে নয়নের মণি ছিলেন এসপিবি। এসপি বালসুব্রহ্মণ্যম পরিচিত ছিলেন এসপিবি আর বালু নামেই।
করোনা আবহে প্রয়াত হলেন জনপ্রিয় সঙ্গীতশিল্পী এসপি বালসুব্রহ্মণ্যম। শুক্রবার দুপুর একটা নাগাদ চেন্নাইয়ের এমজিএম হেলথকেয়ার হাসপাতালে মারা গেলেন। মৃত্যুকালে তাঁর বয়স হয়েছিল ৭৪ বছর।
গত পাঁচ অগস্ট করোনায় আক্রান্ত হয়ে শিল্পী চেন্নাইয়ের এক হাসপাতালে ভর্তি হন। করোনা আক্রান্ত হওয়ার খবর তিনি নিজেই সোশ্যাল মিডিয়াতে শেয়ার করেছিলেন। তার এক মাস পর তাঁর করোনা পরীক্ষার রিপোর্ট নেগেটিভও আসে। কিন্তু শারীরিকভাবে তিনি ক্রমশ দুর্বল হয়ে পড়েন এবং তাঁর শ্বাসকষ্টজনিত সমস্যা বৃদ্ধি পেতে থাকে। তাঁকে ভেন্টিলেটর থেকে বার করা সম্ভব হয় না। অবশেষে দীর্ঘ এক মাস অতিক্রম করে
করোনা থেকে সেরে উঠলেও মৃত্যুর কাছে তিনি হেরে গেলেন।
তেলুগু, তামিল, কন্নড়, মালয়ালম আঞ্চলিক ভাষায় সংগীতের পাশাপাশি হিন্দি ছবির গানে নিজেকে জনপ্রিয় করে তুলেছিলেন তিনি। তাঁর প্রথম হিন্দি ছবি ছিল ‘এক দুজে কে লিয়ে’ তারপর নেপথ্য কণ্ঠ দেন ‘সাগর’, ‘ম্যায়নে প্যায়ার কিয়া’, ‘হাম আপকে হ্যায় কৌন’, ‘রোজা’-র মতো জনপ্রিয় ছবিতে। শাহরুখ খানের ‘চেন্নাই এক্সপ্রেস’-এও গান গেয়েছিলেন বালু।
ছবি: গুগুল
আরও পড়ুন: দু’জন ছিলেন অভিন্নহৃদয় বন্ধু কিন্তু যখন নায়ক ছিলেন তাঁর ঠোঁটে একটিও গান গাননি কিশোরকুমার
Comments are closed, but trackbacks and pingbacks are open.