শুভব্রত সান্যাল
“How is the Josh sir?”
“সাহস তো কম নয় তোর!ব্যাটা মুরগি খাঁচার ফাঁক থেকে আমায় আওয়াজ দিচ্ছিস?”
আমার বিখ্যাত রাগ বেরিয়ে এল। এমনিতে কেউ জোশ দেখালে তাকে পাল্টা একটু উপহার না-দিলে চলে না আমার, আর তুই সেখানে একরত্তি একটা কুক্কুট!
“দাও দেখি ওটাকেই কেটে পাঁচশো গ্রাম। একটা ঠ্যাং আর কিছুটা বুক-পিঠ নিয়ে নাচতে নাচতে বাড়ি এলাম।
দাঁড়ান দাঁড়ান এসেই কি পিটব নাকি?
একটু মালিশ করি আগে। পাতিলেবুর রস,গরমমশলা, গোলমরিচগুঁড়ো আর একটু নুন আর লঙ্কাগুঁড়ো দিয়ে ভাল করে দলাইমলাই করে রাখলাম আধঘণ্টা রেখে দিলাম। “দেখ আমার জোশটা কি জিনিস! আজ জ্বলবি আর বুঝবি।”
বুঝলেন না, যতই হোক ফাঁসির আসামিকেও ভাল করে স্নান করানো হয়।
সেই ফাঁকে একটা মিক্সিতে মৌরি, টকদই আদাবাটা জিরে-ধনেগুঁড়ো, কাশ্মীরি লঙ্কার গুঁড়ো বেশকিছুটা দিয়ে ভাল করে মিশিয়ে নিলাম।
এবার গ্যাসে সরষের তেল আর একটু ঘি দিয়ে গরম করে ফোড়ন হিসেবে তেজপাতা, দারচিনি, ছোটএলাচ, বড়এলাচ, লবঙ্গ, হিং দিয়ে একমিনিট নেড়ে তাতে মাংস দিয়ে ভাল করে ভেজে নিলাম বেশ কিছুক্ষণ। তারপর ওই মশলার মিশ্রণ যোগ করে ভাল করে নেড়ে নিয়ে পরিমাণমতো নুন আর জল দিয়ে ঢাকা দিলাম।
আঃ, কি দারুণ গন্ধ বেরোচ্ছে!
কিছুক্ষণ পর সেই জোশওয়ালা মুরগি জুলজুল করে ফুটন্ত কায় থেকে মিনমিন করে আমায় বলল, “ক্ষমা করে দিন স্যর।”
আমি বললাম এবার বল
“How is the josh?”
বললো “Its Roganjosh Sir.”
শেষে একটু কথা-
যেহেতু কাশ্মীরি রান্না তাই রতন যোথ বলে একটি উপকরণ (গাছের মূল) দিলে গোলাপি মতো একটা রং আসে বলে Youtube-এ দেখলাম। কিন্তু আমার কাছে ছিল না বলে দিইনি।
পেঁয়াজ-রসুন দিয়েও করা যায় তবে আমি পেঁয়াজ-রসুন ছাড়া করেছি।
কেমন হয়েছে??
টক ভালই খাই আর ঝাল একদমই খেতে পারি না। টক ভালই হয়েছে কিন্তু ঝাল যা হয়েছে তাতে আমিই দৌড়ে পালালাম আর কি।
আরও পড়ুন: কাটা পোনার নানারকম
Comments are closed, but trackbacks and pingbacks are open.