নিজস্ব প্রতিনিধি: মুকুল রায় তো ঘরে ফিরলেন, কিন্তু তাঁর হাত ধরে একদিন যাঁরা ঘাস ফুল শিবির ত্যাগ করে পদ্ম বনে ঢুকেছিলেন তাঁদের কি হল বা হবে তা একটা বড় প্রশ্নচিহ্ন হয়ে দাঁড়িয়েছে। কার্যত নিজেদের রাজনৈতিক অবস্থান নিয়ে সেই দলবদলু রাজনৈতিক নেতারাও যথেষ্ট চিন্তিত এবং বিভ্রান্ত। এর মধ্যে বেশকিছু নেতা গেরুয়া শিবিরের অন্দরে বেসুরো গাইতেও শুরু করে দিয়েছেন। এর মধ্যেই মুকুলের কারণে নিচুতলার বেশকিছু কর্মী চলেও এসেছেন, আসছেন। কয়েকজন বেসুরো কথা শুরু করেছেন। আর এসব নিয়ে রীতিমতো সমস্যায় বিজেপি রাজ্য নেতৃত্ব।
বিজেপি নেতৃত্ব যদিও মুখে কিছু বলছেন না কিন্তু তাঁরা বুঝতে পারছেন দলের অন্দরে ভাঙন শুরু হয়ে গেছে। অন্যদিকে তৃণমূল নেত্রী তো আগেই জানিয়েছেন, দলবদলুরা ঘরে ফিরলে তাঁর কোনও আপত্তি নেই। তবে কিছু দলবদলুদের নিয়ে তাঁর আপত্তি আছে। তবে দল যা বলবে তাই হবে।
মুকুল রায়ের তৃণমূলে ফেরা নিয়ে ইতিমধ্যে ত্রিপুরায় বিজেপিতেও নাকি ভাঙনের সম্ভাবনা দেখা দিয়েছে বলে খবরে প্রকাশ। রাজনৈতিক মহলে এখন একটাই কথা ঘোরাফেরা করছে তা হল, পরপর তিনবার বঙ্গ জয়ের নজির গড়ে দিদিমণির চোখ এখন দিল্লির দিকে। ২০২৪ সালের লোকসভা নির্বাচন। আর সেই কাজে দিদিমণির যোগ্য সেনাপতি অবশ্যই মুকুল রায়। যিনি শুরুর দিন থেকে তাঁর পাশে থেকে দলকে একটা গুরুত্বপূর্ণ জায়গায় দাঁড় করিয়েছেন। আর দিল্লি বিজয়ের লক্ষ্যে অন্যান্য রাজ্যে শক্তি বৃদ্ধি করার কাজে ইতিমধ্যে মুকুল রায় নেমে পড়েছেন। তাঁর প্রথম লক্ষ্য ত্রিপুরা। একসময় তৃণমূলের ৬ জন বিধায়ক ছিলেন এই ত্রিপুরা বিধানসভায়। কিন্তু মুকুল রায় বিজেপিতে যোগদান করার পরই সব বিধায়কই বিজেপিতে চলে যান। এবার আবার উল্টোপুরণ শুরু হবে বলে মনে করা হচ্ছে।